10 w ·Translate

সবাই শুধু ব্যক্তিগত আক্ষেপের কথা বলে। এটা আছে, ওটা নেই। কাল ছিলো, আজ নেই। পেয়েছিলাম আবার হারিয়ে ফেলেছি। আমার কথা শুনার কেউ নেই, দুঃখ বুঝার কেউ নেই। সবার শুধু না পাওয়ার হাহাকার, কোথাও কেউ ভালো নেই। কেমন যেন থমকে আছে চারপাশ, মুখ বন্ধ করে নোনা জল লুকিয়ে হেসে যাচ্ছে মানুষ। ছুটছে নিরন্তর সময়ের বেগে, জীবনও যাচ্ছে।

মানুষ বাড়ছে, তবুও শূন্যতার মুক্ত মেলছে না। শহরে নিয়ন আলো, চারপাশের কোলাহল, লোকালয় সবার মাঝে থেকেও যেন মানুষগুলো ঠাঁই একলা হয়ে যাচ্ছে। জীবন থেকে ভালো থাকার কারণগুলো যেন একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে।

কি অদ্ভুত জীবনের সমীকরণ, কি নির্মম বাস্তবতা, কি নিধারুণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা! অথচ আমরা কেউই তা চাই না। আমরা একটা সহজ জীবন চাই, স্বাভাবিকভাবে একটু হাসতে চাই, আর দিনশেষে একটু শান্তির ঘুম। এই যে আমাদের জীবনের এতো আয়োজন এই সমান্যটুকোর জন্যই তো। কিন্তু এইটুকো পাওয়াই যেন ভীষণ আরাধ্য। তবুও রোজনামচা জীবনে যে গুটি কয়েক সুখের মুহূর্ত আসে তা দিয়েই মানুষ নতুন স্বপ্ন বুনে। খুঁজে পায় বেঁচে থাকার অপার আনন্দ। মানুষ বাঁচে জীবনের অল্প কিছু মুহূর্ত আর বাকিটুকো অভিনয়। বেঁচে থাকার, ভালো থাকার,
সুখি হওয়ার। সত্যিটা এটাই কোথাও কেউ ভালো নেই,
কেউই না!

লেখক- মেহেদী হাসান শুভ্র